Hurry Up For your new Tour! Book Your Tour

By, habib
  • 26 Views
  • 1 Min Read
  • (0) Comment

কা’বা শরীফ নির্মাণকারীদের বর্ণনা ও মক্কার ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায় যে, প্রথমে ফেরেশতারা মক্কায় কা’বা শরীফকে কেন্দ্র করে আল্লাহর এবাদত করেন। তখন যমীনে কোন মানুষ ছিল না। ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে কা’বা তৈরি করে এখানে এবাদত করেন। সে সময় যমীনের একমাত্র বাসিন্দা ছিল জিন।

ফেরেশতা ও হযরত আদম (আ)-এর মধ্যে কে প্রথম কা’বা শরীফের ভিত্তি স্থাপন করেন তা নিশ্চিত জানা যায় না। ফেরেশতারা যেহেতু আগে এর এবাদত করেছেন, তাই যুক্তিসঙ্গত কারণে তারাই এর ভিত্তিস্থাপন করেন।

পক্ষান্তরে, তারীখ এমরাতুল মাসজিদিল হারাম বইয়ে ইবনে সুরাকার একটি বর্ণনা উল্লেখ করে বলেছেন যে, কা’বার দরজার সামনে ‘মোসাল্লা আদম’ অবস্থিত। অর্থাৎ হযরত আদম (আ) সেখানে নামায পড়েছেন। হযরত আদম (আ)-এর তৈরি কা’বা হয়তো দীর্ঘদিন পর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তারপর,

আল্লাহ তাঁর বিভিন্ন নবীদের উপর ওহী নাযিলের মাধ্যমে কা’বার নির্দিষ্ট স্থান জানিয়ে দিয়েছেন এবং সে অনুযায়ী কা’বার নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের কাজ চলেছে। হযরত নূহ (আ) এর মহাপ্লাবনের সময় কা’বা শরীফ ধ্বংস হয়ে যায়।
তাই হযরত ইবরাহীম (আ)-কে পুনরায় কা’বা নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়।

ইতিহাসে পর্যায়ক্রমে কা’বা শরীফ নির্মাণকারীদের সংখ্যা ১১ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন:

১. ফেরেশতা ২. হযরত আদম (আ) ৩. হযরত শীস (আ) ৪. হযরত ইবরাহীম (আ) ৫. আমালেকা সম্প্রদায় ৬. জোরহোম গোত্র ৭. কুসাই বিন কিলাব ৮. কোরাইশ ৯. হযরত আবদুল্লাহ বিন যোবায়ের (রা) ১০. হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এবং ১১. সুলতান মুরাদ।

ইবনে জারীর উল্লেখ করেছেন, আল্লাহ আদম (আ) এর কাছে অহী পাঠিয়ে বলেন। আমার আরশ বরাবর নীচে একটি হারাম বা সম্মানিত জায়গা আছে। তুমি সেখানে গিয়ে আমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি ঘর তৈরি কর এবং আমার আরশের চারপাশে তাওয়াফকারী ফেরেশতাদের মত তুমিও এর তাওয়াফ কর। সেখানে আমি তোমার ও তোমার সন্তানদের দোয়া কবুল করবো। হযরত আদম (আ) জবাবে বলেন, হে আল্লাহ! সে জায়গাটি তো আমি চিনিনা। তারপর একজন ফেরেশতা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। তিনি ৫ টি পাহাড়ের পাথর দিয়ে মক্কায় আল্লাহর ঘর কা’বা শরিফ তৈরি করেন। তিনি এক সপ্তাহ যাবত আল্লাহর ঘরের তওয়াফ করেন। হযরত আদম (আ) এর তাওয়াফ থেকেই বনি আদমের তাওয়াফের সূচনা হয়।
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (স.) বলেছেন, হযরত আদম (আ.) কা’বা শরিফ নির্মাণ করে তাওয়াফ করেন এবং দরজা বারারব ২ রাকাআত নামাজ পড়ে এই দোয়া পড়েন।

اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ سَرِ يُرَتِي وَعَلَانِيَتِي فَاقُلُ مَعْذِرَتِي وَتَعْلَمُ حَاجَتِي فَأَعْطِنِي سُؤْلِي وَتَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي ذَنْبِي ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَلْكَ إِيْمَانَا يُبَاشِرُ قَلْبِي وَيَقِينَا صَادِقاً حَتَّى أَعْلَمَ أَنَّهُ لَا يُصِيبُنِي إِلَّا مَا كَتَبْتَ لِي

হযরত আদম (আ.) এর দোয়ার জবাবে আল্লাহ তাআ’লা ওহী পাঠিয়ে বললেন : আমি তোমার সব গুনাহ মাফ করে দিয়েছি এবং তোমার সন্তানদের মধ্যে যে কেউ আমার ঘরে এসে তাওয়াফ করে ২ রাকাআত নামাজ পড়ে দোয়া করবে আমি তারও সব গুনাহ মাফ করে দেব।
ফেরেশতারা হযরত আদম (আ)কে আরাফাতে নিয়ে যান এবং হজ্জের সকল নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেন। হযরত আদম (আ.) যখন হজ পালন করছিলেন, তখন আরাফাতে ফেরেশতারা আদম (আ) কে বলেন: হে আদম! আমরা আপনার ২ হাজার বছর আগে এই ঘরে হজ্জ আদায় করেছি।
হযরত আদম (আ) ফেরেশতাদের প্রশ্ন করলেন : আপনারা তাওয়াফ করার সময় কি পাঠ করতেন?
ফেরেশতারা উত্তর দিলেন আমরা পাঠ করতাম :
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

হযরত আদম (আ)ও তাওয়াফে এই দোয়াটি অনেক বেশি পড়েছেন।

হযরত আদম (আ) দুনিয়ায় আসার ২ হাজার বছর আগে ফেরেশতারা এই ঘরে হজ্জ করেছেন।
ফেরেশতাদের পর হযরত আদম (আ) দুনিয়ায় এসে মক্কায় আগমন করেন এবং কা’বা শরিফ নির্মাণ করেন। মানুষের মধ্যে তিনিই প্রথম হজ্ব আদায় করেন।

রেজওয়ান আহমদ
মুয়াল্লিম মক্কা শরীফ: লতিফ ট্রাভেল সিলেট বাংলাদেশ

Leave a comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Join The Newsletter

To receive our best monthly deals

vector1 vector2